আমার ছাতার গল্প

আচ্ছা, আপনার হাতে একটু সময় আছে, না মানে একটা গল্প বলতাম আমার ছাতা নিয়ে ।
 ‘গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা, কে. সি. পালই ভরসা’। হ্যাঁ, বাঙালির কাছে ছাতা মানেই তো কে. সি. পাল। দেখতে দেখতে আশী বছরের ও বেশি হয়ে গেলো বড়বাজারের সেই দোকান। আর এখন ডালপালা মেলে পরিধিও বেড়েছে অনেকটাই। মাথার উপর এমন একটা ছায়া থাকলে আর চিন্তা কীসের?
চোখ বুজে বিশ্বাস করা যায় যাকে, এ ছাতা সঙ্গে থাকলেই কেল্লাফতে। এমনটাই এর ব্র‍্যান্ড ভ্যালু। তখন কলকাতায় মনে হয় ডাক ব্যাক এর পরেই লোক কে শি পাল কেই বেশি ভরসা করতো।
এবার বলি আমার এই ছাতার গল্প। দুহাজার ছয় সাল। প্রথম বিদেশ যাত্রার প্রাক্কালে আমার এই ছাতা টি কিনেছিলাম কোনো এক কলেজ স্ট্রিট এর দোকান থেকে । তাও আবার নামি দোকান কিছু না। একটা বড়ো দোকান , তার নিচে ছোট ছাতার দোকান , মোটামুটি sqart করে বসে দরদাম করতে হতো, এখনো মনে আছে। সেই রকম এই একটা দোকান থেকে আমার এই ফোল্ডিং ছাতা তা কেনা।
তার পর লেনিন সরণি যে গজকুমার ব্রাদার্স থেকে কিছু জামাকাপড় ও কিনেছিলাম মনে আছে।
সেই ছাতা আমার সঙ্গে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ভারতবর্ষের অনেক জায়গা ঘুরে গত এক দশকের বেশি এই পার্থ এ ও আমার সঙ্গী হয়ে আছে। অনেক ঝড় , জল গেছে ছাতা টার উপর দিয়ে । আজ ও আমার বর্ষার সঙ্গী। যুগ যুগ জিও !
অভিজিৎ

2 thoughts on “আমার ছাতার গল্প

Leave a reply to Bose Family Cancel reply